রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে কেউ কেউ আবার স্থাপনা তৈরি করে ভাড়া দিয়ে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সড়কের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি সরকার কোন রাজস্ব পাচ্ছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সরকারের নির্দেশ মোতাবেক ইতোমধ্যে এসব অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২৩ ডিসেম্বরে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ফরিদগঞ্জ এলাকায় ২২৭ জন অবৈধ দখলকারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪ কিলোমিটার এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের চাঁদপুর সেচ প্রকল্পর নানুপুর পাম্প হাউজের পূর্ব থেকে মতিন মাওলানার ব্রিজ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এবং পাম্প হাউজের পশ্চিম থেকে হানারচর ইউনিয়নের হরিণা চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় খুব শিগগরই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে।
অবৈধ স্থাপনার মধ্যে সদর উপজেলার নানুপুর, বাগাদী চৌরাস্তা, ঢালীর ঘাট, রঘুনাথপুর, দোকানঘর, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর এলাকায় বেশি অবৈধ দখলকার রয়েছে। এসব এলাকায় স্থানীয়রা প্রভাব খাটিয়ে বহু স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, মার্চের মধ্যেই আমাদের এই উচ্ছেদ অভিযান সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। নানা কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা অবশ্যই উচ্ছেদ অভিযান শেষ করব। এসবের জন্য আমাদের বরাদ্দও রয়েছে। এখন শুধুমাত্র বাস্তবায়ন করার অপেক্ষা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ৩৩৯ জন অবৈধ দখলকারকে উচ্ছেদের পূর্বেই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রত্যেকের নামে পৃথকভাবে নোটিশ দেয়া হবে বলেও এই কর্মকর্তা জানান।